ইমরান তালুকদারঃ
ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানাধীন ভাকুর্তা এলাকায় গত ০৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ অটোরিক্সা চালক রমজান আলী (৪৮) ‘কে হত্যার পর তার লাশ নির্জন স্থানে ফেলে রেখে অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের পরিবার সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বর্ণিত ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ নভেম্বর ২০২৩ইং সন্ধ্যায় ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানাধীন ভাকুর্তা এলাকার অটোরিক্সা চালক রমজান আলী (৪৮) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন পূর্বক রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের মুলহোতা রাজুসহ ০৫ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪। গ্রেফতারকৃতরা হল ১।রাজু (৩০), জেলা-ভোলা ২।মোঃ মহসিন (৪০)জেলা ভোলা ৩।মোঃ নুর আলম (২৮)জেলা। ভোলা ৪।মোঃইসমাইল (২০)জেলা. ভোলা ৫।মোঃ আক্তার (১৯)জেলা. ভোলা।
র্যাব-৪ সাভার সি.পি.সি ২ এর কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় , তারা সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইসহ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধভাবে কৌশলে যাত্রী সেজে অটোরিক্সায় উঠে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে আসা সাধারণ নিম্নবিত্ত মানুষের আয়ের একমাত্র উৎস অটেরিক্সা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিতো এবং ক্ষেত্র বিশেষে চালককে মারধর এমনকি হত্যা করে নির্জন স্থানে ফেলে রেখে অটোরিক্সা ছিনতাই করে। তারা গত ০৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ ঢাকা জেলার সাভারের ভার্কুতা কাইশার চর এলাকার অটো রিক্সা চালক ভিকটিম রমজান আলী (৪৮)’কে হত্যার সত্যতা স্বীকার করে। চক্রের মূলহোতা রাজু ও তার সহযোগী ইসমাইল সাভারের হেমায়তপুর থেকে যাত্রীবেশে ভিকটিমের অটো রিক্সায় উঠে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সাভারের ভার্কুতা কাইশার চর এলাকার নির্জন স্থানে একটি কলা বাগানে নিয়ে পূর্ব হতে ওৎ পেতে থাকা অপর সদস্যদের সহযোগিতায় অটোরিক্সাটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এতে চালক ভিকটিম রমজান আলী আত্মরক্ষার্থে ডাক চিৎকার শুরু করলে গ্রেফতারকৃত আসামীরা ভিকটিমের গলায় গামছা পেঁচিয়ে হাত-পা বেঁধে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে এবং লাশটি ফেলে রেখে ভিকটিমের সাথে থাকা অটো রিক্সা, টাকা পয়সাসহ ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে তারা কিছু দিনের জন্য বরিশাল ও ভোলায় আত্মগোপন করে। বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর তারা ঢাকায় ফিরে স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু করে এবং স্থান পরিবর্তন করে ছিনতাই ও ডাকাতির কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো।গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।