অনলাইন ডেস্কঃ
গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় সিএনজি পাম্পের সিন্ডিকেট ব্যবসায় চরম ভোগান্তিতে পরিবহন চালকেরা। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছে মত ব্যবসা করে যাচ্ছে তারা। সিএনজি গ্যাস চালিত গাড়িতে গ্যাস না দিয়ে অবৈধভাবে চড়া দামে বিক্রি করছে বিভিন্ন কল কারখানা, হোটেল ও দোকানে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলায় যে কয়টি সিএনজি পাম্প চালু রয়েছে তার বেশির ভাগ পাম্পেই কাভার্ডভ্যানে করে সিএনজি গ্যাস চড়া দামে বিক্রি করছে বিভিন্ন শিল্প কারখানা, হোটেল ও দোকানে। এই ভ্যানের ভিতরে পুরোটাই ভরা থাকে সিএনজি সিলিন্ডার এই সিলিন্ডার ভর্তি করতে ৭- ৮ ঘন্টা সময় লেগে যায়, এতে ঐ পাম্পে থেকে অন্য কোন গাড়িতে গ্যাস নিতে গেলে তাদেরকে গ্যাসের চাপ নাই বলে ফেরত দিয়ে দেয় দুএকটি পাম্পে গ্যাস দিলেও ১০০ থেকে ২০০ টাকার বেশি গ্যাস নেয়া যায় না।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দারিয়াপুর এলাকার মেসার্স হাইওয়ে সিএনজি এন্ড ফিলিং স্টেশনে রশি টানিয়ে পাম্পে গাড়ি প্রবেশ বন্ধ করে দিয়ে সাইনবোর্ড দিয়ে রাখছে ‘সিএনজি বন্ধ’ অথচ একটি কাভার্ডভ্যান ভর্তি সিলিন্ডারগুলোতে তারা গ্যাস দিচ্ছে।
একইভাবে দারিয়াপুর এলাকার ভূমি সিএনজি, সূত্রাপুর এলাকার মা সিএনজি পাম্প, শিলা বৃষ্টি সিএনজি এন্ড ফিলিং স্টেশন, উত্তর হিজলতলী এলাকার আসুকা সিএনজি এন্ড ফিলিং স্টেশন, চন্দ্রা এলাকার সীমান্ত ফিলিং স্টেশন, কাজলি ফিলিং স্টেশন, দেওয়ান সিএনজি পাম্প, দুবাই সিএনজি পাম্প, উইনার এনার্জি সিএনজি পাম্প থেকে বিভিন্ন কাভার্ডভ্যান, মিনি ভ্যান, ঠেলা গাড়ি ইত্যাদি দিয়ে সিএনজি গ্যাস বিক্রি করছে বিভিন্ন শিল্প কারখানা, হোটেল ও দোকানপাটে। এদিকে সিএনজি চালিত গাড়িগুলোতে সিএনজি পাম্পে ঠিক মত গ্যাস না পেয়ে পড়তে হচ্ছে বিপাকে।
ইমরান নামে এক প্রাইভেটকার চালক বলেন, গাড়ি নিয়ে ঢাকা যাব, গ্যাস ভরার জন্য তিনটা পাম্পে ঘুরে ১৪০ টাকার গ্যাস নিতে পারছি, সব পাম্পেই কাভার্ডভ্যানে করে ৪০- ৫০টা করে গ্যাস সিলিন্ডার লাগিয়ে রাখে আমরা আর গ্যাস নিতে পারি না, দু একটা পাম্পে যদিও পাই প্রেসার একদম থাকেনা।
হারুন নামে এক প্রাইভেট চালক বলেন, আমরা কি যে বিপদে আছি, কালিয়াকৈরে সিএনজি পাম্পগুলো থেকে এখন আর গ্যাসই নিতে পারি না, সব সময় তারা বড় বড় কন্টেইনার লাগিয়ে রাখে, আমরা যদি রিকোয়েস্ট করি আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে।
এ বিষয়ে চন্দ্রা জোনের তিতাসগ্যাস কর্মকর্তা জনাব মোস্তফা মাহবুবের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এই বিষয়টি দেখার দায়িত্ব আমাদের না, এটি দেখবে বিস্ফোরক অধিদপ্তর। তবে আমার জানা মতে এভাবে গ্যাস দেয়ার নিয়ম নেই।
প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক জনাব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।