আমিনুল ইসলামঃ গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে রয়েছে, বয়স্ক, শিশু, শ্রমজীবী ও স্বল্প আয়ের মানুষ। ছোট বাচ্চারা ভোরবেলা শীতের মধ্যে স্কুলে যেতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে নানা রকম রোগে। হাট-বাজারে দোকান পাট খোলা থাকলেও বিক্রির পরিমাণ কম হচ্ছে, ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মূলধন খরচ করেই সংসার চালাতে হচ্ছে। কৃষিশ্রমিকেরা সকাল সকাল মাঠে নামতে না পারায় তাদের আয়ও কমছে। ফলে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
তীব্র শীতে বিভিন্ন জায়গায় দেখা মিলে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এবছর শীত এসেছে যেন “মরার ওপর খাঁড়ার ঘা” হয়ে। এমনিতেই মূল্যবৃদ্ধির চাপে মানুষ দিশেহারা। সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। খেটে খাওয়া মানুষেরা জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। এর মধ্যে শীতের তীব্রতা তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। শীতের সময় ঘর থেকে বের হওয়া খুবই কষ্টদায়ক হলেও সংসার চালাতে ও পেটের ক্ষুধা নিবারণের জন্য কাজের সন্ধানে বের হতে হচ্ছে। হতদরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও বস্তি এলাকার শীতার্ত মানুষের মাঝে সরকারি-বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান হলেও চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল। সব মিলিয়ে প্রচণ্ড শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
এবিষয়ে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, ইতিমধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা শুরু হয়েছে, আজকেও ৭০টি শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়।